অনলান ডেস্ক: | প্রকাশিত ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৫:৫৬:৩২
ফাইল ছবি
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের উদ্যোগে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ পদক প্রদান করেন। খবর বাসসের
দেশের ক্রীড়াঙ্গণে বিশেষ অবদানে স্বীকৃতি হিসেবে শহীদ শেখ কামাল এবং দেশের ক্রিকেটে অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসানসহ মোট ৩২ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে এই পদক প্রদান করা হয়। পুরস্কার হিসেবে বিজয়ীদের ২৫ হাজার টাকার চেক এবং স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেল। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকতার উদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।
দেশের স্বাধীনতাত্তোর ক্রীড়াঙ্গণের উজ্জ্বল নক্ষত্র আবাহনী ক্রীড়া চক্র লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পদক (মরণোত্তর) ২০১১ এবং সাকিব আল হাসান ২০১২ সালের পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
শেখ কামাল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যের সঙ্গে শাহাদাৎবরণ করেন। দেশের জনপ্রিয় স্পোর্টস ক্লাব আবাহনী ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতা শেখ কামাল আজাদ বয়েজ ক্লাবের হয়ে প্রথম বিভাগে ক্রিকেট খেলেন। তিনি এ্যথলেট ছিলেন, বাস্কেট বল ইভেন্টেও প্রথম বিভাগে খেলেছেন।
দেশের বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের সম্মানিত করতে ১৯৭৬ সালে জাতীয় ক্রীড়া পদক চালু করা হয়। এ পর্যন্ত মোট ১৮৮ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব এ পদক পেয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৯ জন ক্রিকেটার।
সাকিবের আগে আইসিসি ট্রফি বিজয়ী অধিনায়ক আকরাম খান ১৯৯৮ সালে এবং দেশের প্রথম ওয়ান-ডে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট বিজয়ী দলের সদস্য এবং সেই ম্যাচের ম্যান অব দ্য ম্যাচ মোহাম্মদ রফিক ২০০৬ সালে এই পুরস্কার পান।
২০১০ সালের জাতীয় ক্রীড়া পদক বিজয়ী ১০ ক্রীড়াবিদ হলেন— মাস্টার অফিসার মো. হারুন-উর-রশীদ (সুইমিং), কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণজয়ী শুটার আতিকুর রহমান (শুটিং), মাহমুদা বেগম (এ্যাথলেট), দেওয়ান মো. নজরুল হোসেন (জিমনাস্টিক), মো.মিজানুর রহমান মানু (সংগঠক), এ এস এম আলী কবির (সংগঠক), মো. তকবির হোসেন (সুইমিং, মরনোত্তর), ফরিদ খান চৌধুরী (এ্যাথলেট), বেগম নেলি জেসমিন (এ্যাথলেট) এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্রীড়ায় বিশেষ সাফল্যের জন্য বেগম নিপা বোস (এ্যাথলেটিক্স )।
২০১১ সালের পদক বিজয়ী ১০ ক্রীড়াবিদ হলেন— বেগম রওশন আরা ছবি (জিমনাস্টিক), সার্জেন্ট মো. কাঞ্চন আলী অবসরপ্রাপ্ত (বক্সিং), মো. আশরাফ আলী (রেসলিং), বেগম হেলেনা খান ইভা (ভলিবল), জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট (ক্রিকেট), মো. রবিউল ইসলাম (ফটিক দত্ত) (বডিবল্ডিং), জুম্মন লুসাই (হকি, মরণোত্তর), কুতুবুদ্দিন মোহাম্মদ আকসির (সংগঠক), আশিকুর রহমান মিকু (সংগঠক) এবং শহীদ শেখ কামাল (ক্রীড়াবিদ এবং সংগঠক, মরণোত্তর)।
২০১২ সালের পদক বিজয়ী ১২ ক্রীড়াবিদ হলেন— সাকিব আল হাসান (ক্রিকেট), মো. মহসিন (ফুটবল), খুরশীদ আলম বাবুল (ফুটবল), আশিষ কুমার ভদ্র (ফুটবল), মো.আব্দুল গাফ্ফার (ফুটবল), সত্যজিৎ দাস রুপু (ফুটবল), ফিরোজা খাতুন (এ্যাথলেটিক্স), নাজিয়া আখতার জুথি (ব্যাডমিন্টন), আর্চাারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিবউদ্দিন আহমেদ চপল (সংগঠক), আ.ন.ম মামুনুর রশিদ (হকি), উন্মে সালমা রফিক (সংগঠক, মরণোত্তর) এবং নুরুল আলম চৌধুরী (সংগঠক)।
বিজয়ীরা সকলেই প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে তাদের পদক গ্রহণ করেন। আর মরণোত্তর পুরস্কার প্রাপ্তদের পক্ষে তাদের পরিবারের সদস্য এবং নিকটজনেরা পুরস্কার গ্রহণ করেন।
এরমধ্যে সাঁতারু মরহুম মো. তকবির হোসেনের পক্ষে ছেলে মোশাররফ হোসেন, প্রয়াত হকি তারকা জুম্মন লুসাইয়ের পক্ষে তার ছোট ভাই জুবেল লুসাই, বন্ধু ও ঢাকা ক্লাবের সভাপতি শাহেদ রেজা শহীদ শেখ কামালের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন। প্রয়াত উন্মে সালমা রফিকের পক্ষে মেয়ে গাজী সারাহ মেহনাজ প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকতার উদ্দিন আহমেদ পদক বিতরণ পর্বটি পরিচালনা করেন।